বাথরুম ডিজাইনের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা উচিৎ

বাথরুম ডিজাইন করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখা উচিত, যাতে এটি কার্যকরী, আরামদায়ক এবং সৌন্দর্যমণ্ডিত হয়। এখানে বাথরুম ডিজাইনের ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ বিবেচ্য বিষয় তুলে ধরা হলো:

১. স্থান ও বিন্যাস

  • বাথরুমের আকার অনুযায়ী জিনিসপত্রের সঠিক বিন্যাস করা জরুরি। ছোট বাথরুম হলে ভাজ করা দরজা বা স্লাইডিং দরজা ব্যবহার করতে পারেন।
  • শাওয়ার, টয়লেট এবং বেসিনের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা ছেড়ে দিন। একের উপর অন্যটি যেন স্থান নিয়ে বিরক্তিকর না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

২. সঠিক আলোর ব্যবস্থা

  • প্রাকৃতিক আলো বাথরুমকে উজ্জ্বল ও আরামদায়ক করে। জানালা বা সোলার স্কাইলাইট রাখতে পারেন, যাতে আলো ঢোকে।
  • রাতের সময়ে পর্যাপ্ত আলো নিশ্চিত করতে সিলিং লাইট, মিরর লাইট ইত্যাদি রাখতে পারেন।

৩. রঙের পছন্দ

  • হালকা রং যেমন সাদা, অফ-হোয়াইট, হালকা নীল, ধূসর ইত্যাদি ব্যবহার করলে বাথরুম বড় দেখায় এবং পরিচ্ছন্ন দেখায়।
  • গাঢ় রঙের টাইলস বা অ্যাকসেন্ট দেওয়াল ব্যবহার করে বিশেষায়িত লুক দিতে পারেন।

৪. টাইলস ও মেঝে নির্বাচন

  • মেঝে এবং দেয়ালের টাইলস এমন ধরনের বেছে নিন যা পানিরোধক এবং অ্যান্টি-স্লিপ। সেরামিক, পোরসেলিন বা মার্বেল টাইলস ভালো অপশন হতে পারে।
  • বাথরুমের ফ্লোরিং যেন সহজে শুকিয়ে যায় এবং সহজে পরিষ্কার করা যায় তা নিশ্চিত করুন।

৫. সঠিক ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা

  • সঠিক ভেন্টিলেশন না থাকলে বাথরুমে ভ্যাপার জমে থাকে এবং ফাঙ্গাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এক্সহস্ট ফ্যান বা জানালা দিয়ে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।

৬. স্টোরেজ স্পেস

  • বাথরুমের প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন তোয়ালে, সাবান, শ্যাম্পু ইত্যাদি রাখার জন্য কেবিনেট বা শেলফ রাখুন।
  • স্থান সাশ্রয় করতে ওয়াল-মাউন্টেড শেলফ ব্যবহার করতে পারেন।

৭. স্যানিটারি ফিটিংস

  • বেসিন, টয়লেট, এবং শাওয়ার ফিটিংস ভালো মানের ব্যবহার করুন। এগুলো টেকসই এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য হওয়া উচিত।
  • ওয়াটার সেভিং ফিটিংস যেমন লো-ফ্লো শাওয়ার হেড ব্যবহার করতে পারেন, যা পানির খরচ কমাবে।

৮. আয়না ও আনুষাঙ্গিক

  • বড় আয়না বাথরুমকে উজ্জ্বল ও বড় দেখাতে সাহায্য করে। ভ্যানিটি মিরর যুক্ত করে ব্যবহার করতে পারেন।
  • হ্যান্ডেল বার, তোয়ালে হোল্ডার, সোপ ডিসপেনসার ইত্যাদি ছোট আনুষাঙ্গিকও বাথরুমের আভিজাত্য বাড়াতে পারে।

৯. সেফটি ব্যবস্থা

  • স্লিপ রোধক ম্যাট ব্যবহার করুন এবং ইলেকট্রিক্যাল সুইচ বা সকেট এমন স্থানে বসান যাতে ভেজা অবস্থায় হাত না পড়ে।
  • শিশু বা বয়স্কদের জন্য গার্ড রেল বা গ্রিপ বার রাখতে পারেন।

১০. পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ব্যবস্থা

  • পানির নিষ্কাশনের জন্য সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখুন, যাতে পানি জমে না থাকে।
  • পরিষ্কার করা সহজ হয় এমন সামগ্রী এবং ফিটিংস ব্যবহার করুন, যাতে বাথরুমে ফাঙ্গাস বা দাগ না পড়ে।

এই বিষয়গুলো খেয়াল রেখে বাথরুম ডিজাইন করলে এটি হয়ে উঠবে একেবারে ব্যক্তিগত স্পেস যেখানে আপনি আরামদায়ক এবং রিলাক্সড অনুভব করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Main Menu